মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার এর কাজ কী এবং বেতন কত?

BidyutSeva

Updated on:

মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার এর কাজ কী এবং বেতন কত?

পল্লী বিদ্যুৎ একটি সরকারী স্বায়ত্ত-শাসিত বিদ্যুৎ বিতরণকারী সেবামূলক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো বা BREB) এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। সারা বাংলাদেশে অঞ্চলভিত্তিক ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস বা PBS) রয়েছে। আর এই ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বর্তমানে তিন কোটি ষাট লক্ষ সাতান্ন হাজার চারশত আশি জন বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহক রয়েছে ( সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং এ পাওয়া তথ্য মতে) । এই বিশাল পরিমাণের প্রায় ৯৬% গ্রাহকেরই রয়েছে পোস্টপেইড মিটার।

এর ফলে এই ৯৬% মিটারের বিল প্রস্তুত করার জন্য মিটারের রিডিং গ্রহণ করতে হয় এবং বিল প্রস্তুতের পর তা গ্রাহকের হাতে পৌঁছাতে হয় । এই রিডিং গ্রহণ এবং প্রস্তুতকৃত  বিল গ্রাহকের কাছে পৌছাতে বিশাল পরিমাণের জনশক্তি প্রয়জন হয়, আর এই জনশক্তিই হচ্ছে মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) অর্থাৎ মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) এর কাজ হলো, বিদ্যুৎ মিটারের রিডিং গ্রহণ করা এবং প্রস্তুতকৃত বিল এর কপি গ্রাহকের কাছে পৌছে দেওয়া।

মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার এর  কাজ কী এবং বেতন কত?

তবে এ ছাড়াও তাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উত্তম গ্রাহক সেবার লক্ষে আরো কিছু কাজ করতে হয়। নিচে মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) এর কাজের বিবরণ এবং বেতন কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জারের কাজের দায়িত্ব

১. মিটার রিডিং সংগ্রহ করা

মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) এর প্রধান কাজ হচ্ছে গ্রাহকদের বাড়িতে মিটারে কাছে গিয়ে প্রতি মাসে মিটার রিডিং সংগ্রহ করা। বিদ্যুৎ মিটারে গ্রাহকের ব্যবহৃত ইউনিট চিহ্নিত করে তা যথাযথভাবে নথিভুক্ত করা , যা পরবর্তীতে বিদ্যুৎ বিল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পবিস নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রত্যেক মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) এর দুই হাজার (২০০০) টি মিটারের রিডিং গ্রহণের জন্য বলা আছে।

তবে পল্লী বিদ্যুতে প্রচুর পরিমাণে লোকবল ঘাটতি থাকায় প্রত্যেকে প্রায় দুই হাজার পাচশত থেকে  তিন হাজার ( ২৫০০ – ৩০০০) টি মিটারের রিডিং গ্রহণ করতে হয়। এই রিডিং গ্রহণের ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে তাদের একটি নির্দিষ্ট শিডিউল করে দেয় ।যেখানে তাদের রিডিং রুট, রিডিং গ্রহণের তারিখ, রিডিং রুট জমা দেওয়ার তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ করা থাকে এতে করে তারা মাসের শুরুতেই পুরো মাসের কাজের্পপরিধি জানতে পারে। এই শিডিউল প্রতি ৬ মাস পর পর পরিবর্তন করা হয়।

২. বিল বিতরণ 

মিটার রিডিংয়ের পাশাপাশি মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) গ্রাহকদের বাড়িতে গ্রাহকদের হাতে প্রস্তুতকৃত বিদ্যুৎ বিলের কপি বিতরণ করেন। পবিস নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রত্যেক মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) এর দুই হাজার (২০০০) টি মিটারের বিদ্যুৎ বিলের কপি গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর জন্য বলা আছে। তবে পল্লী বিদ্যুতে প্রচুর পরিমাণে লোকবল ঘাটতি থাকায় প্রত্যেকে প্রায় দুই হাজার পাচশত থেকে  তিন হাজার ( ২৫০০ – ৩০০০) টি বিদ্যুৎ বিলের কপি বিতরণ করতে হয়।

এই বিদ্যুৎ বিলের কপি বিতরনের ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে তাদের একটি নির্দিষ্ট শিডিউল করে দেয় ।যেখানে তাদের বিদ্যুৎ বিলের কাপি বিতরণের শুরুর তারিখ,শেষের তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ করা থাকে এতে করে তারা মাসের শুরুতেই পুরো মাসের কাজের পরিধি জানতে পারে।এই শিডিউল প্রতি ৬ মাস পর পর পরিবর্তন করা হয়। এখানে তাদের যে রুটে বা যে যে মিটারের রিডিং গ্রহন করতে হয় ঠিক সেই মিটারগুলোরই বিদ্যুৎ বিলের কপি বিতরণ করতে হয়। এক্ষেত্রে এলাকা চিনতে এবং কাজ করতে সুবিধা পাওয়া যায়। 

৩. বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া অর্থ আদায়

সাধারণত পল্লী বিদ্যুতের পোস্টপেইড গ্রাহকরা প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ বিলের অর্থ বকেয়া রাখে।পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারাহের লক্ষে নিয়মিত পিডিবির বিল পরিশোধ,অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পল্লী বিদ্যুতের অনেক টাকার প্রয়োজন হয় এছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ এর এপিএ লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে, মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল গ্রাহক প্রান্ত থেকে আদায়ের কাজ করে থাকেন, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যেখানে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার সহজলভ্যতা কম।

এক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেকের নামে কিছু গ্রাহকের লিস্ট করে দেওয়া হয় ,সেই লিস্ট অনুযায়ী তারা গ্রাহক প্রান্ত থেকে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। তবে এই কাজ তুলনামূলক চ্যালেঞ্জিং কারণ বকেয়া আদায় করতে গেলে অনেক সময় গ্রাহকেরা খারাপ আচরণ করেন  বিলের বকেয়া টাকা দিতে চান না , অফিসারদের চাপ ইত্যাদি ।

৪. ব্যাংক কালেকশন সংগ্রহ

বিদ্যুৎ বিলের অর্থ গ্রহণে পল্লী বিদ্যুৎ বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে   চুক্তি করে সেই সকল ব্যাংকে গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ বিলের অর্থ পরিশোধ করে থাকে । এই পরিশোধিত বিলের কপি বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃক সার্ভারে আপডেট না করলে তা বকেয়া হিসাবেই থেকে যায় এইজন্য নিয়মিত এই ব্যাংক কালেকশনগুলো মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জারদেরকে ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিতে হয়।

৫. মিটার পরিদর্শন এবং রিপোর্ট করন

যদি কোনো মিটার ত্রুটিপূর্ণ হয় বা সঠিকভাবে কাজ না করে , ভেঙ্গে যায় বা পুরে যায়,যদি কোনো গ্রাহক নিজে নিজে মিটার স্থানান্তর করে, সাইড লাইন দেয় ,মিটার রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়জন হয় ,মিটার পরীক্ষার দরকার হয়,মিটার পরিবুর্তনের প্রয়জন হয় ইত্যাদি তবে মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসে রিপোর্ট আকারে জানায়। এবং পরবর্তীতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সেই রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

৬. বিদ্যুৎ চুরি শনাক্ত করা

মিটার রিডাররা বিদ্যুৎ চুরির মতো বেআইনি কার্যকলাপও শনাক্ত করে থাকেন। কোনো মিটারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অফিসকে জানায়।

৭. গ্রাহক সেবা

মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জাররা সরাসরি গ্রাহকদের সাথে কাজ করেন, তাই তারা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সেবা সম্পর্কে যেকোনো প্রশ্ন বা অভিযোগের সমাধান দিতে সহায়তা করেন। তারা সঠিক তথ্য প্রদান করে এবং সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার এর বেতন সুবিধাদি

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জারদের বেতন নির্ধারণ করা হয় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর তৈরি নীতিমালা  অনুযায়ী। সাধারণত, এই পদের জন্য বেতন কাঠামো নিম্নরূপ:

১. বেতন

  • একজন নতুন মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার শুরুতে প্রতি মাসে প্রায় ব্যাসিক বা মূল বেতন হিসাবে পৰিস বেতন কাঠামো-২০১৬ অনুযায়ী বেতন স্কেল ১৪,৭০০.০০ হতে ২৬,৪৮০ টাকা সহ পবিস নির্দেশিকা / সার্কুলার অনুযায়ী অন্যান্য ভাতাদি পেয়ে থাকেন যা অন্যান্য সুবিধা বা ভাতা মিলে যা মোট প্রায় ২৫ হাজার  টাকা বা তারও বেশি হয়। 

২. অন্যান্য সুবিধা ও বোনাস

  • বেতন ছাড়াও অন্যান্য সুবিধা যেমন- ভ্রমণ ভাতা, চিকিৎসা সুবিধা ও ভাতা, এবং শিক্ষা ভাতা, বিদ্যুৎ বিল, ধোলাই ভাতা , বিশেষ প্রণোদনা, গ্রাচুইটি সুবিধা ইত্যাদি পেয়ে থাকেন।
  • এছাড়াও তারা বছরে ০২টি উৎসব বোনাস, বৈশাখী ভাতা, পবিসের প্রাপ্তি অনুযায়ী এপিএ বোনাস, ভালো কাজ করলে শুদ্ধাচার পুরস্কার, এছাড়াও পবিসের প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রণোদনা পেয়ে থাকেন।

৩. ছুটি

প্রত্যেক মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার সরকারি ছুটির দিন ছাড়াও বছরে ২০ দিন নৈমিত্তিক , ৩৩ দিন অর্জিত ছুটি পেয়ে থাকেন। এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী তারা চাইলে বিনা বেতনে ছুটি ও স্টেশন লিভ নিতে পারেন । সরকারি ছুটির দিন অফিস বন্ধ থাকলেও মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জারদের অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে অনেক সময় কাজ করতে হয়। 

৪. পদোন্নতির সুযোগ

  • মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার পদ চুকিভিত্তিক হওয়ায় এই পদে তাদের কোনো পদোন্নতির ব্যাবস্থা নেই। তাবে তাদের প্রতি বছর বা প্রতি চুক্তির সময় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে বেতন বৃদ্ধি হয়।

মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার পদে চাকুরীর জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা

মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) পদে নিয়োগ পেতে  মাধ্যমিক বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। এছাড়াও নিচের যোগ্যতাগুলো থাকতে হবে । 

ক) প্রার্থীকে সৎ, বিশ্বস্ত, মার্জিত, ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, সুঠাম দেহ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। 

খ) প্রার্থীর নিজস্ব বাই-সাইকেল থাকতে হবে এবং বাই-সাইকেল চালনায় পারদর্শী হতে হবে।

গ) প্রার্থীকে পাটিগণিতের মৌলিক বিষয়ে অর্থাৎ যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।

ঘ) বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।

এই পদে মূলত দুই ভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে

১. এক বছর মেয়াদি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। যা প্রতি এক বছর পর পর নবায়ন করতে হয়।

.২. ওভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিন বছরের জন্য নিয়োগ।যা প্রত।।তিন বছর পর পর নবায়ন করতে হয়।

এবং দুই ক্ষেত্রেই একজন ব্যাক্তি একটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে সর্বোচ্চ ০৯ বছর চাকুরী করতে পারেন। এর পর তাকে ওই পবিস হতে প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে অন্য পবিসে সার্কুলার অনুযায়ী চাকুরীর জন্য আবেদন করতে হয়।

উদাহরণ হিসাবে নিচে একটি নিয়োগ পত্র দেওয়া হলোঃ

লিংকঃ চট্টগ্রাম পবিস-২ এ মিটার রিডার কাম ময়াসেঞ্জার পদে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

চ্যালেঞ্জ এবং কাজের জটিলতা

১. দুর্গম এলাকায় কাজ করা

গ্রামীণ এলাকায় মিটার রিডিং সংগ্রহ করতে গেলে অনেক সময় দুর্বহ আবহাওয়া এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এটি তাদের কাজকে আরও জটিল করে তোলে।

২. কাজের চাপ

বিলিং সাইকেলের সময় (মাসের শেষের দিকে) মিটার রিডারদের উপর কাজের চাপ বেড়ে যায়। অনেক সময় অল্প সময়ের মধ্যে বড় এলাকা কভার করতে হয়।

৩. বিদ্যুৎ চুরির ঝুঁকি

মিটার রিডারদের কাজের সময় বিদ্যুৎ চুরির মতো অপরাধ শনাক্ত করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তারা অবশ্যই সতর্কতার সাথে এই কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকেন।

উপসংহার

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার পদটি বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং গ্রাহক সেবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। সঠিকভাবে মিটার রিডিং নেওয়া, বিল বিতরণ এবং গ্রাহকদের সেবা প্রদানের মাধ্যমে তারা বিদ্যুৎ সংস্থার নির্ভরযোগ্যতা বজায় রাখে এবং এই পদে বেতন তুলনামূলক অনেক ভালো।

FAQ (প্রশ্নোত্তর)

১. মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জারদের মাসিক বেতন কত?
একজন নতুন মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার শুরুতে প্রতি মাসে প্রায় ব্যাসিক বা মূল বেতন হিসাবে পৰিস বেতন কাঠামো-২০১৬ অনুযায়ী বেতন স্কেল ১৪,৭০০.০০ হতে ২৬,৪৮০ টাকা সহ পবিস নির্দেশিকা / সার্কুলার অনুযায়ী অন্যান্য ভাতাদি পেয়ে থাকেন যা অন্যান্য সুবিধা বা ভাতা মিলে যামোট প্রায় ২৫ হাজার  টাকা বা তারও বেশি হয়। 

২. মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জারদের কাজ কি?
মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জারদের প্রধান কাজ হলো গ্রাহকদের মিটার রিডিং সংগ্রহ করা, বিদ্যুৎ বিল বিতরণ করা, এবং বিদ্যুৎ চুরি শনাক্ত করা ও অন্যান্য।

৩. মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জারদের পদোন্নতির সুযোগ আছে কি?
মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার পদ চুকিভিত্তিক হওয়ায় এই পদে তাদের কোনো পদোন্নতির ব্যাবস্থা নেই। তাবে তাদের প্রতি বছর বা প্রতি চুক্তির সময় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে বেতন বৃদ্ধি হয়।

আরো জানুন- পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম ও শর্তাবলী: কী জানতে হব

উপরোক্ত আলোচনাটি আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। বিদ্যুৎ সম্পর্কে বিস্তারিত আরো কিছু জানতে নিয়মিত ফলো করুন আমাদের Bidyutseva.com ওয়েবসাইট , ইউটিউব চ্যানেল

ELECTRICTY CRISIS এবং ফেসবুক পেইজ Electricity Crisis